এবার বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপ নির্মাণ করেছে ১৬০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী মাসেই দেশে আসছে আদানির বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস থেকেই আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এর দাম পায়রার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে না। আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এদিকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের কমিশনিং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজারদরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আগামী এপ্রিলে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরো ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এপ্রিল মাসে। বেশ কিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসবে।
সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে উত্তরাঞ্চলে। আদানির প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দেশের উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। এতে ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎসংকট কেটে যাবে।
এদিকে আদানির বিদ্যুৎ দেশের উত্তরাঞ্চলে সরবরাহের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং বগুড়ায় দুটি ৪০০ কেভির গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পিজিসিবি সূত্রে জানা যায়, আদানির বিদ্যুৎ দেশে আমদানির জন্য এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২৬ কোটি টাকা।