করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ব্যস্ত নগরী নিউইয়র্ক। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে আকুতি জানিয়েছেন নিউইয়র্ক মেয়র বিল ব্লাজিও।
তিনি বলেন, ‘আমার নগরীর জনগণ বিপন্ন। স্রষ্টার দোহাই, দ্রুত ব্যবস্থা নিন।’ এছাড়া আসছে সপ্তাহে অবস্থা আরও নাজুক হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র এবং রাজ্য গভর্নরের আতঙ্কের বার্তা আর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস কনফারেন্সে মানুষের স্থির থাকা দুরূহ হয়ে উঠেছে।
রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো জরুরি আদেশ জারি করেছেন। যেখানে ভেন্টিলেশন যন্ত্র আছে, সেখান থেকে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের উঠিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের নগরীর সংকটে এগিয়ে আশার জন্য অ্যালার্ট জারি করেছেন। নিউজার্সির গভর্নর রাজ্যে জাতীয় পতাকা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
৩ এপ্রিল মেয়র বিল ডি ব্লাজিও আমেরিকার সর্বত্র ডাক্তার ও নার্সদের তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব পেশাজীবীদের দ্রুত করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখতে বলেছেন। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্ক, ডেট্রয়েট এবং লুইজিয়ানা নগরীর অবস্থা খুবই নাজুক হবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিল ডি ব্লাজিও। সর্বত্র সেনা মোতায়েন না করলে এবং আগে কখনো করা হয়নি এমন কোনো ব্যবস্থা না দিলে অনেক মূল্যবান জীবন ঝরে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আসছে সপ্তাহে নিউইয়র্ক নগরীর হাসপাতালে পাঁচ হাজারের বেশি লোক ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকবে এবং তাদের কাছে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর নেই বলে মেয়র জানিয়েছেন।
আতঙ্কিত মেয়র ব্লাজিও আকুতি জানিয়ে বলেছেন,’এখনো শান্তিকালীন অবস্থার মতো দেশ চলছে। অথচ আমার নগরীর জনগণ বিপন্ন। স্রষ্টার দোহাই, দ্রুত ব্যবস্থা নিন।’
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি নিউইয়র্কে অনেক সাহায্য করেছেন। নেভাল হাসপাতাল পাঠিয়েছেন, ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়েছেন। অন্য রাজ্যের দিকেও তাঁকে নজর রাখতে হবে।
আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার মৃত্যু হয়েছে। এই মৃতের তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ৭১৬ জন। এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক রাজ্যে। নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।